ভালোবাসার গল্প ১
ভালোবাসার গল্প ১ম পর্ব
গল্পটি সর্ম্পূন কাল্পনিক ।
গল্পটির প্রধান দুই চরিত্রের নাম রাতুল ও নীলা ।
রাতুলের ভার্সিটি
থেকে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় ,
প্রতিযোগিতার প্রথম
পুরষ্কার ১লক্ষ টাকা ,
রাতুল বাবা মা হারা
সন্তান ছোট বেলায় তার মা বাবা মারা যান ,অনাত আশ্রমে বড় হয় সে ,
এই মূহুর্তে তার
টাকার ও খুব প্রয়োজন .তাই সাত পাচঁ না ভেবে সে প্রতিযোগিতায় তার নাম লিখিয়ে নেয় ,
প্রতিযোগিতার স্থান
একটি পাহাড়ি এলাকায় ঠিক করা হয়,
প্রতিযোগিতার দিনে
সবাই ম্যাচ রেফারির সামনে উপস্তিত .
এবার ম্যাচ রেফারি
সবার খেলার রুলস সম্পর্কে জানিয়ে দিচ্ছেন , তিনি বললেন প্রথম যে খেলাটি হবে সেটা হলো
, প্রত্যেহকে পৃথক পৃথক ট্রেন এ ভিক্ষা করার জন্য পাঠানো হবে যে দুজন এর ভিক্ষা করে বেশি টাকা আনতে পারবে তারা পরবর্তী রাউন্ডের জন্য সিলেক্ট
হবে এবং পরবর্তী রাউন্ডে যে বিজয়ী হবে সেই হবে এই প্রতিযোগিতার বিজেতা,
সবাইকে সবার ট্রেনের
সময়সূচী জানিয়ে দেওয়া হল , এইমূহুর্তে সবাই প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত ,
রাতুল তার ট্রেন
আসার অপেক্ষায় দাড়িয়ে আছে আর মনে মনে খোদার স্মরন করছে আর বলতেছে হে খোদা আমাকে যে
কোন মূল্যে এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী করে দিও ,
এভাবে অনেক সময়
যাওয়ার পর রাতুলের ট্রেন আসে ,রাতুল ট্রেনে উঠে ট্রেনের বাতরুমে গিয়ে তার গেটাপ চেন্জ
করে নেয় , রাতুল এমন গেটাপ ধরে যে বুঝা যায় তার দু পা নষ্ট মানে প্রতিবন্ধী দু হাতে
ভর করে চলে সে , রাতুল ট্রেনের একপ্রান্ত থেকে ভিক্ষা করা শুরু করে, যখন সে ট্রেনের
মধ্যের বগীর কাছে আসে তখন সে তমকে যায় এক পলকে থাকিয়ে দেখতে থাকে একটি মেয়ে অপলক দৃষ্টিতে
বাহিরে তাকিয়ে আছে, প্রথম দেখাতেই তার মনে হয় মেয়েটি তার শত জনমের চেনা মেয়েটি যেন
তার অপেক্ষাতেই বসে আছে , এসব ভাবনা বাদ দিয়ে রাতুল বলতে শুরো করে .মেডাম দুইদিন ধরে
কিছু খাইনি কিছু টাকা ভিক্ষা দেন , রাতুলের কথা শুনে নীলা জানালা থেকে মুখ ফিরিয়ে রাতুলের
দিকে থাকায় .সে রাতুলের দিকে তাকিয়ে তার র্পাটস থেকে একটি 500 টাকার নোট বের করে রাতুলকে
দেয় এবং বলে আমার অনেক কষ্টে উর্পাজন করা টাকা অযথা ব্যয় করোনা,
রাতুল : ঠিক আছে
ম্যাডাম কিন্তু এতো টাকা কেন..?
নীলা: কয়েকদিনের
জন্য চাল ডাল কিনে নিও তাই দিলাম
রাতুল: আপনি অনেক
ভাল , প্রভু আপনার মঙ্গল করুক ম্যাডাম
নীলা : আচ্ছা যাও
তুমি তোমার কাজ করো
রাতুল : ভাল থাইকেন
ম্যাডাম
নীলা : হুম তুমিও ভালো থাকো
এই বলে নীলা আবার
জানালার দিকে মুখ করে নিলো ,
রাতুলের নীলার কাছ
থেকে আসতে মন চাইছিলো না তবুও বাধ্য হয়ে চলে আসলো
প্রতিযোগিতার পর্ব শেষ সবাই যার যার ভিক্ষার টাকা নিয়ে প্রস্তুত,
যার যার টাকা সবাই
ম্যাচ রেফারির সামনে রাখলো,
রেফারি : ১ ঘন্টা
পর সবাইকে রেজাল্ট দেওয়া হবে সবাই এখন রেস্ট নাও,
রাতুল : স্যার আমি
এই মূহুর্তে খেলা থেকে লিব নিতে চাই ,
রেফারি : কি বলো
এসব রাতুল ,তুমি খেলার শেষ না করে এমনটা করতে পারবেনা ,
রাতুল : আমি সিরিয়াসলি বলছি আমার সমস্যা আছে প্লিজ,
রেফারি : ঠিক আছে
রাতুল তবে আমাদের রুলস অনুযায়ী যারা আমাদের প্রতিযোগিতায় থাকবেনা তার আমাদের সাথে থাকতে পারবেনা,
তুমি এই মূহুর্তে আমাদের দল ত্যাগ করো ,
রাতুল : ওকে স্যার
No comments